Monday, October 27, 2014

সচেতন অভিভাবকদের মনে রাখা ও পালন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

  1. কারো কোলে বসা (এমনকি চাচা, মামা ইত্যাদি) থেকে আপনার শিশু কন্যাকে বিরত রাখুন বা সাবধানতা বজায় রাখুন।
  2. সন্তান ২ বছর বয়স হলে (ছেলে/মেয়ে) তার সামনে নিজের পোশাক পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকুন।
  3. কোন বয়স্ক ব্যক্তি (সে যতই নিকটাত্মীয় হোক না কেন) যেন আপনার সন্তানকে ‘আমার বউ’ বা ‘আমার বর’ বলে সম্বোধন না করে, সে ব্যপারে কঠোর ও অনমনীয় থাকবেন।
  4. যখনই আপনার সন্তান বাইরে (আপনার চোখের আড়ালে) খেলতে যাবে, জানার চেষ্টা করুন তারা কোন ধরনের খেলা খেলে এবং কার সাথে ও কোন বয়সী বাচ্চাদের সাথে খেলে?
  5. কারো কাছে থাকার জন্য কক্ষনই আপনার বাচ্চাকে (ছেলে/মেয়ে) বাধ্য বা জোর করবেন না, বিশেষ করে সে (বাচ্চা) যদি থাকতে না চায় বা অস্বস্তির ভাব দেখায়। এমনকি, হঠাৎ করেই যদি আপনার সন্তান কোন বিশেষ কারো সাথে থাকতে চায় বা তার প্রতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী অনুরক্ত আচরণ করে তবে বিষয়টি অনুসন্ধান করবেন।
  6. কোন প্রাণবন্ত বা খুবই হাসিখুশি বাচ্চা যদি হঠাৎ করে খুব বিমর্ষ বা চুপচাপ অথবা সব কাজেই অনাগ্রহ দেখায়, তাহলে সময় ও ধৈর্যশীলতার সাথে এর কারণ অনুসন্ধান করুন।
  7. শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে তখন নারী-পুরুষের শারীরিক সম্পর্ক (right values of sex) সম্মন্ধে সঠিক শিক্ষা দিন। যদি আপনি সেটা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার পারিপার্শ্বিক সমাজ ও বন্ধুরা তাকে সেই শিক্ষা দেবে; এবং সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল বা বিকৃত শিক্ষা হবে।
  8. আপনার শিশুর জন্য যদি কোন ভিডিও বা কার্টুন কিনে আনেন, তবে সে (শিশু) দেখার আগে আপনারা দুজন (বাবা-মা) দেখে নিবেন এটা আসলেই তার দেখার উপযোগী কি না।
  9. আপনার বাসায় যদি ক্যাবল টিভি থাকে তাহলে সেটি কঠোর প্যারেনটাল কন্ট্রোলের আওতায় আনুন, যেন আপনার অনুপস্থিতিতে শিশুর টিভিতে কোন ধরনের অশালীন- অপ্রীতিকর দৃশ্য দেখার সম্ভবনা না থাকে। আপনার শিশুর যারা খেলার সাথী, তাদের অভিভাবকদেরকেও এই ব্যপারে পরামর্শ দিন।
  10. আপনার তিন বছরের সন্তানকে ভালভাবে তার লজ্জাস্থানসমূহ পরিষ্কার করা শেখান। এবং সতর্ক করে দিন যেন কেউ তার সেই সব স্থান স্পর্শ না করে বা করার চেষ্টা না করে। (এমনকি আপনিও পারতপক্ষে এটি থেকে বিরত থাকবেন)
  11. আপনার সন্তানের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কিছু জিনিস এমনকি কিছু ব্যক্তিকেও ব্ল্যাকলিস্টের অন্তর্ভুক্ত করুন (বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান [গান, মুভি, সিরিয়াল, কার্টুন], ভিডিও গেইম, ক্ষতিকর আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব ইত্যাদি)।
  12. আপনার সন্তানকে নৈতিকতায় স্বতন্ত্র বা লাখে একজন (the value of standing out of the crowd) হওয়ার আবশ্যকতা শেখান।
  13. আপনার সন্তান যখন কোন ব্যক্তি সম্পর্কে অভিযোগ করবে (যতই অবাস্তব/ অসম্ভব/অকল্পনীয় সেই অভিযোগ হোক না কেন), অবশ্যই জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি অনুসন্ধান করবেন। এবং সবসময় আপনার সন্তানের পাশে থাকবেন। আপনার সন্তান জানু্ক যে, আপনি তাকে রক্ষা করার ক্ষমতা ও সাহস রাখেন। মনে রাখবেন, আপনি হয় অভিভাবক অথবা ভবিষ্যৎ।

Sunday, October 26, 2014

লিউ, তার স্বামী এবং শ্বাশুড়ী


অনেক দিন আগে, চীন দেশে লিউ নামে এক মেয়ে বিয়ে করে বাস করতে লাগল তার স্বামী এবং শ্বাশুড়ীর সাথে।

খুব অল্পসময়েই লিউ দেখল যে তার শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করাটা প্রায় অসম্ভব।ক্রমশ তাদের মধ্যে মতনক্য আর ঝগড়া শুরু হয়। শাশুরি প্রায়শ লিউকে কটাক্ষ করতো বিভিন্ন কাজে।পরিস্থিতি সবচাইতে খারাপ করল যে দিকটা সেটা হল, চাইনিজ পরম্পরা অনুয়ায়ী লিউ তার শ্বাশুড়ীকে সবসময়েই মাথা নুইয়ে সন্মান জানাতে হতো এবং শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মেনে নিতে হতো।

অনেক দিন এবং সপ্তাহ পার হয়ে গেল কিন্তু তাদের বিবাদ না কমে দিন দিন বাড়তেই থাকল।এ সমস্ত ঘটনা ক্রমেই লিউর স্বামীকেকে হতাশাগ্রস্থ করে তুলল।লিউ কোনভাবেই তার শ্বাশুড়ীর এই খারাপ আচরন বরদাস্ত করতে পারছিলনা, এবং সে সিদ্ধান্ত নিল যে কিছু একটা করতেই হবে।

একদিন লিউ তার বাবার এক বন্ধু মি: হং এর কাছে গেল যার একটা ফার্মেসি রয়েছে। লিউ তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললো এবং তার কাছে কিছু বিষ চাইল যা দিয়ে তার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলে এ সমস্ত সমস্যার সমাধান করা যায়।মি: হং কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন," লিউ, আমি তোমাকে সাহায্য করবো তোমার সমস্যার সমাধান করবার জন্য, কিন্তু আমি তোমাকে যা যা বলবো তাই তোমাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।লিউ খুশিমনে তার কথায় রাজী হয়ে গেলো।

মি: হং পেছনের রুমে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন একটা ঔষধের প্যাকেট নিয়ে।তিনি লিউকে বললেন," তোমার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলবার জন্য এমন কোন বিষ দেয়া উচিৎ হবেনা যা তাৎনিক ভাবে তাকে মেরে ফেলবে। এতে লোকের সন্দেহ তোমার উপর পরবে।তাই আমি তোমাকে এমন একটা ঔষধ দিচ্ছি যা তোমার শ্বাশুড়ীর শরীরে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া করবে। প্রতিদিন তার খাবারের সাথে এটা অল্প করে মিশিয়ে দিবে। এটার কার্যকারীতা শুরু হতে কয়েকমাস লেগে যেতে পারে, আর তাই তুমি তোমার শ্বাশুড়ীর সাথে এ কদিন ভাল ব্যবহার করতে থাক যাতে লোকের সন্দেহ কোনক্রমেই তোমার উপর না পরে।কখনই তার সাথে তর্ক করবেনা, তার প্রতিটি ইচ্ছা পুরণ করবে এবং তার সাথে রানীর মতো আচরণ করবে।"লিউ খুবই খুশী হল।সে মি: হংকে ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এল তার শ্বাশুরীকে হত্যা করবার কাজ শুরু করবার জন্য।সপ্তাহ পার হয়ে মাস পার হয়ে গেল, লিউ তার ঔষধটা শ্বাশুড়ীকে নিয়ম করে খাওয়াতে লাগল।সে সবার সন্দেহের উর্দ্ধে থাকবার জন্য মি: হং এর উপদেশও অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে লাগলো। সে তার বাজে রাগকে প্রশমিত করলো, তার শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মাথা পেতে পালন করতো এবং তার সাথে আচরণ করত তার নিজের মায়ের মতই।

ছয়মাস পর পুরো ঘরের দৃশ্যপট পাল্টে গেল।লিউ তার রাগকে এতটাই দমন করা শিখে গেল যে, সে আর তেমন করে উত্তেজিতই হতে পারত না।তার সাথে তার শ্বাশুড়ীর এই ছয়মাসে কোন তর্কই বাধল না, আর এখন লিলি তার শ্বাশুড়ীর সাথে অনেক বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল।লিউর প্রতি তার শ্বাশুড়ীর আচরণেরও পরিবর্তন হল, এবং তিনি লিউকে তার মেয়ের মতই ভালবাসতে শুরু করলেন।তিনি তার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদেরকে বলতে লাগলেন যে, পৃথিবীতে যত বৌমা আছে তার মধ্যে লিউ হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট।লিউ এবং তার শ্বাশুড়ী, মেয়ে এবং মা এর মতই বাস করতে লাগল।সবকিছু দেখে লিউর হাসবেন্ডও খুব খুশি হয়ে উঠল।

একদিন লিউ আবারও মি: হং এর কাছে সাহায্যের জন্য আসল। সে মি: হংকে বলল, " প্রিয় মি: হং, আপনার বাকি ঔষধ আপনি ফিরিয়ে নিন এবং যতটুকু ক্ষতি আমার শ্বাশুড়ীর হয়েছে তা কাটাবার কোন ঔষধ দিন। তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং এখন তাকে আমি আমার মায়ের মতই ভালবাসি।"

মি: হং হেসে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, " লিউ, ভয় পাবার কোন কারন নেই, আমি তোমাকে কোন বিষ দেইনি। যেটা দিয়েছিলাম সেটা ছিল একপ্রকার ভিটামিন। যা তোমার শ্বাশুড়ীর স্বাস্থ্য ভাল হতে সাহায্য করেছে।

একমাত্র বিষ ছিল তোমার মনে এবং তার প্রতি তোমার আচরণে, যেটা তুমি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলেছ তাকে ভালবেসে।"

মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যাবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যাবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যাবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়"

Wednesday, April 23, 2014

স্বামীর ভালবাসা অর্জনের উপায়

  • নারীসুলভ আচরণ করুন (যেমনঃ কোমল হওয়া), স্বামীরা তাদের স্ত্রীর জায়গায় কোন পুরুষ চায় না!
  • সুন্দর/আকর্ষণীও পোশাক পরুন। আপনি যদি গৃহিণী হন, সারাদিন ধরে রাতের পোশাক (ঢিলাঢালা আরামদায়ক পোশাক) পরে থাকবেন না।
  • ঘাম/মশলা জাতীয় গন্ধ থেকে পরিচ্ছন্ন ও সুরভিত থাকুন।
  • আপানর স্বামী বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার সাথে সাথে আপানার যাবতীয় সমস্যার কথা বলা শুরু করবেন না। তাকে কিছুটা মানসিক বিরতি দিন।
  • বার বার জিজ্ঞেস করবে না, ‘কি ভাবছ?’
  • অনবরত দোষারোপ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ আপনাকে আসলেই সত্যিকার অর্থে অভিযোগ করার মত কিছু দেন।
  • অন্যের কাছে নিজেদের স্বামী-স্ত্রীর সমস্যার কথা বর্ণনা করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন; এমনকি সাহায্য বা পরামর্শ চাওয়ার অজুহাতেও না! আপনি যদি মনে করেন আপনার বৈবাহিক সমস্যার আইনানুগ সমাধান প্রয়োজন, তাহলে এমন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে যান যেঃ
  • কোন অন্যায়ের ব্যপারে ভুল সংশোধনের মাধ্যমে মধ্যস্থতা করে দিতে পারে, যাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আবার সুন্দর সমন্বয়ে মিল হয়ে যায়, অথবা
  • উভয়পক্ষের সম্মতিতে সৌহার্দপূর্ণভাবে বিচ্ছেদ করাতে পারেন।
  • আপানর শাশুড়ির সাথে ভাল আচরণ করুন, যেমনটি আপনি চান আপানার স্বামী আপানার মায়ের সাথে করুক।
  • ইসলামে স্বামী স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানুন। অধিকার আদায়ের চেয়ে আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদনের ব্যপারে আগে সজাগ হন।
  • যখন সে ঘরে আসে, দরজায় এমন ভাবে ছুটে যান যেন আপনি তারই অপেক্ষায় ছিলেন। হাসিমুখে তাকে সালাম দিন।
  • আপনার বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন; অন্তত আপনার স্বামী যতটুকু পরিচ্ছন্ন দেখতে পছন্দ করে।
  • তাকে এমন বিষয়ে প্রশংসা করুন যে বিষয়ে তিনি নিজে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন (যেমন, চেহারা, বা বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি)। এটা তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
  • তাকে বলুন, স্বামী হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ।
  • তার পরিবার পরিজনের সাথে প্রায়ই যোগাযোগ করুন।
  • তাকে সহজ কোন গৃহস্থালি কাজ দিন, কাজটি করে ফেললে তাকে ধন্যবাদ জানান। এতে সে আরও উৎসাহিত হবে।
  • সে যখন কোন একঘেয়ে কথা বলে, তার কথা ধৈর্য ধরে শুনুন। মাঝে মাঝে তাকে প্রশ্নও করুন যাতে সে বুঝতে পারে আপনি তার কথা আগ্রহ নিয়ে শুনছেন।
  • তাকে ভাল কাজে উৎসাহিত করুন।
  • তার মেজাজ খারাপ থাকে, তাকে কিছুটা সময় একা থাকতে দিন। ইনশাআল্লাহ, একসময় তার মেজাজ ঠিক হয়ে যাবে।
  • আপানাকে খাদ্য ও আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। এটি অনেক বড় ব্যপার।
  • সে যদি আপানার সাথে রেগে গিয়ে চেঁচাতে থাকে, আপনি চুপ থেকে তাকে চেঁচাতে দিন। দেখবেন আপনাদের বিবাদ অনেক দ্রুত থেমে গেছে। পরে যখন সে শান্ত হবে, তখন আপনি আপনার কথা বোঝাবেন।
  • যখন আপনি তার উপর রেগে যান, তখন বলবেন না যে তিনি আপনাকে রাগিয়েছেন, বরং বলুন তার কাজে আপনি আপসেট হয়েছেন। আপনার রাগকে তার দিকে নির্দেশ না করে তার কাজ বা উদ্ভুত পরিস্থিতির দিকে নির্দেশ করুন।
  • মনে রাখবেন, আপনার স্বামীরও আবেগ অনুভুতি আছে, কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
  • তাকে তার বন্ধুদের সাথে কোন রকম অপরাধবোধ ছাড়া কিছু সময় কাটাতে দিন, বিশেষতঃ যদি তারা ভাল মানুষ হয়। তাকে বাইরে যেতে উৎসাহ দিন যাতে সে নিজেকে ঘরের ভেতর ‘আবদ্ধ’ বোধ না করে।
  • স্বামী যদি আপনার কোন সামান্য কাজে বা অভ্যাসে বিরক্ত হয় (যেটি আপনি সহজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারেন), সেটি করা বন্ধ করে দিন।
  • আপনার মনের কথা তাকে খোলাখুলি বলতে শিখুন; সে সবসময় বুঝে নেবে বা অনুমান করতে পারবে এমন চিন্তা করবেন না। আপনার অনুভূতি প্রকাশ করা শিখুন।
  • ছোট ছোট বিষয়ে রেগে যাবেন না।
  • তার সাথে হাসি মশকরা করুন, যাতে আপনাদের দুই জনের মনই প্রফুল্ল হয়।
  • তাকে বলুন, আপনি স্ত্রী হিসাবে সেরা, এবং এমন বিষয়ে নিজের উল্লেখ করুন যেটা আপনি জানেন আসলেই প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু অহংকার করে নয়, বিনয় এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে।
  • ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে- "The way to a man's heart is through his stomach" তাই তার পছন্দের খাবার তৈরি করা শিখুন।
  • আপনার পরিচিত বা আত্মীয় স্বজনের কাছে কক্ষনও তার বদনাম করবেন না। তারা যদি একথা মেনে নেয় ও বিশ্বাস করা শুরু করে, তাহলে তা আপানকেই পাল্টা আহত করবে। আপনি নিজেই তখন হীনমন্যতায় ভুগবেন এই ভেবে যে আপনার স্বামী খারাপ, আবার অন্যরাও ভাববে যে আপনার স্বামী খারাপ।
  • বুদ্ধিমত্তার সাথে আপনার সময়টাকে কাজে লাগান, এবং আপনার দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পাদন করুন। এতে আপনিও খুশি হবেন, আপনার স্বামীরও ভাল লাগবে।
  • উপরের  সবগুলো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করুন; দেখবেন আপনি যা করছেন আল্লাহ তায়ালা তাতে বরকত দেবেন।
  • স্বামী স্ত্রী একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ, করণীও-বর্জনীয় বিষয়গুলো বিজ্ঞতার সাথে আলোচনা করবেন। স্বামীকে এমন ভাবে আদেশ বা নির্দেশ দেবেন না যেন মনে হয় সে আপনার 'অধীনস্ত'।
  • আপনার স্বামীকে বারবার বলুন আপনি তাকে কত ভালোবাসেন।
  • আপনার স্বামীর সাথে খেলাধুলায় প্রতিযোগিতা করুন, এবং তাকে জিততে দিন।
  • সুস্থ থাকুন, এবং নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, যাতে বলিষ্ঠ ভাবে একজন মা, স্ত্রী ও গৃহিণীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ এতে আপনি মোটা হবেন না।
  • আচার-আচরনে মার্জিত থাকুন (যেমনঃ ঘ্যানঘ্যান করা, অতি উচ্চস্বরে হাসা বা কথা বলা, থপথপ করে সশব্দে হাঁটাচলা করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন।)
  • স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাবেন না, আর তাকে না জানিয়ে তো অবশ্যই বের হবেন না।
  • খেয়াল রাখুন তার পরিধেয় কাপড়গুলো যেন নিয়মিত পরিষ্কার থাকে।
  • জরুরি অথবা বিতর্কিত বিষয়ে তার সাথে এমন সময় আলোচনা করবেন না যখন সে ক্লান্ত অথবা তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। সঠিক সময়ে সঠিক আলোচনা করুন।
  • আপনার স্বামী আপনার জন্য কষ্ট করে কাজ করে উপার্জন করছেন এবং আপনার খাওয়া-পরার বন্দোবস্ত করছেন- এই ব্যপারটির সবসময় প্রশংসা করুন। এতে তার কাজের স্পৃহা বাড়বে।
  • আপনার চুল সব সময় আঁচড়ানো রাখুন।
  • মাঝে মাঝে উপহার দিন। উপহার স্বরূপ তাকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও দিতে পারেন।
  • তার আগ্রহ ও শখের ব্যপারে আপনিও আগ্রহী হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • অতিরিক্ত কেনাকাটা করবেন না...তার সমস্ত টাকা খরচ করে ফেলবেন না।
  • তার জন্য নিজেকে আকর্ষণীও করে সাজান, তার সাথে খুনসুটি করুন।
  • আপনার ত্বকের যত্ন নিন, বিশেষতঃ চেহারার। চেহারাই আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
  • অন্তরঙ্গ ব্যপারে যদি আপনার কোন অসন্তুষ্টি থাকে, তাকে জানান, তার সাথে কথা বলুন। তাকে বুঝতে সাহায্য করুন। নীরব থেকে পরিস্থিতি খারাপ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
  • প্রতিদিন, প্রতি ওয়াক্তের নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনাদের মধ্যকার ভালবাসার ও সহমর্মিতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে দেন এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করেন। দোয়ার মত কার্যকরী কিছুই নেই। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা তখনই থাকে যখন আল্লাহ তাদের মাঝে এটা দেন।
  • কক্ষনো নিজের স্বামীর সাথে অন্যদের স্বামীর তুলনা করবেন না। যেমনঃ কখনও বলবেন না, 'অমুকের স্বামী তো এমন করে না, তুমি কেন এমন কর...'
  • আপনার স্বামী যেমন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। কারণ, কেউ নিখুঁত নয়, আপনিও নন। আর যদি, ত্রুটিহীন, নিখুঁত সঙ্গী চান তাহলে জান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ইনশাআল্লাহ সেখানে আপনি এবং আপনার স্বামী দু’জনেই হবেন নিখুঁত ও ত্রুটিহীন।
  • তাহাজ্জুদ নামাজের সময় তাকে ডাকুন এবং আপনার সাথে তাকেও নামাজ পড়তে বলুন।
  • আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনাদের দুজনকেই মুত্তাকী হতে সাহায্য করেন।
  • সর্বাগ্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করুন। যদি সমস্ত স্ত্রীরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টায় রত থাকে, নিশ্চিতভাবেই তারা তাদের স্বামীদের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারবে। আর মনে রাখবেন, আল্লাহ যদি আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে ফেরেশতারা আপানাকে ভালবাসবে, সমস্ত সৃষ্টি আপনাকে ভালবাসবে।
আল্লাহ যেন সকল স্বামী স্ত্রীর বন্ধনকে হেফাজত করেন, এবং দ্বীনের শ্রেষ্ঠ আদব সমূহ বোঝার এবং তা কাজে লাগিয়ে সংসার জীবনকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার তৌফিক দেন। আমীন।

Friday, February 28, 2014

কর্মক্ষেত্রে ৩টি সেরা উপহার যা আপনি দিতে পারেন

তারিফ করা
আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এমন সময় আপনার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে আপনাকে বলল যে সে আপনার কাজের নীতির ভক্ত এবং তার মতে আপনি প্রতিষ্ঠানে অনেক ভাল করতে পারবেন। এই কথাটি আপনার কিন্তু সব সময় মনে দাগ কেটে থাকবে। তার সেই তারিফের ফলে আপনি কাজের জন্য প্রেরণা পাবেন এবং হয়ত ভবিষ্যতে প্রমোশনও পেয়ে যেতে পারেন। উপযুক্ত সময় ও স্থানে কোন তারিফ করলে সেটার আমেজ সব সময়ই থেকে যায়।

সম্মান দেওয়া
অনেক বিনয়ী মানুষই আছে যারা নিজেরা যতটা সম্মান পেয়েছে তার থেকে অন্যদেরকে বেশি সম্মান দিতে পছন্দ করে। কোন আইডিয়া বা অর্জন যদি তাদের হয়েও থাকে, তাদের দল বা অন্য কাউকেই তারা এর কৃতিত্ব দিয়ে থাকে। এটি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা স্বরূপ। প্রতিটি ভাল আইডিয়া বা স্ট্র্যাটেজিই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। পুরোপুরি প্রাপ্য না হলেও যে কাউকে তার কাজ বা অর্জনের জন্য কৃতিত্ব দিন এবং হয়ত আপনার ব্যবসার পরবর্তী বড় আইডিয়াটি তার মাথা থেকেই আসতে পারে।

সাহস দেওয়া
চাপের সময় মানুষ স্থিতিশীলতা খোঁজে। বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এছাড়াও অন্য আরো অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেই চলছে। এই সময়েই কিন্তু নেতাদেরকে সামনে এগিয়ে এসে অন্যদেরকে সাহস দিয়ে বলতে হবে যে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কারণ এখনই সাহস দেওয়ার সময়। আপনার দেওয়া সাহসেই অন্যরা এগিয়ে যাবে এবং ভরসা পাবে যা তাদের মনোবল দৃঢ় করে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।

১৩টি প্রতিজ্ঞা যা আপনাকে আরও বেশী উদ্দীপ্ত করবে

  1. সৃজনশীলতাঃ প্রতিজ্ঞা করুন আজ নতুন এবং ভিন্ন ধর্মী কিছু করে পৃথিবীকে আরও সুন্দর করার। 
  2. ক্ষমতাবান হাওয়াঃ প্রতিজ্ঞা করুন আজ আরও শক্তিশালী হতে হবে যাতে অধ্যবসায় ও নমনীয়তা দিয়ে সকল বাঁধা দূর করা যায়।
  3. উদ্দীপনা: আজ কি হতে পারে তা ভেবে নিজেকে উদ্দীপ্ত করা যায়।
  4. বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আজ কুসংস্কারমুক্ত অবস্থায় চিন্তা করে তা দেখা যায় যা এতদিন দেখা হয়নি।
  5. উপলব্ধিঃ আজ অবশ্যই তার সচেতন অস্তিত্বের উপস্থিতি উপলব্ধি করা যায় যা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে এবং যা দ্রুতই শেষ হচ্ছে।
  6. সংবেদনশীলতাঃ আজ অনুভূতি গুলোর ব্যাপারে সচেতন থেকে বুঝতে চেষ্টা করা যায় তা নিজস্বতার উপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করে আছে।
  7. চিত্তবিনোদনঃ দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টা নিজেকে আনন্দ দেবার জন্য কিছু করা চাই।
  8. সুখানুভবঃ এই মুহূর্তে যাই হোক না কেন তাই করা উচিত যা ভাল থাকতে সাহায্য করে।
  9. কর্মশক্তিঃ আজ নিজের ক্ষমতা বলে অন্যদের কল্যাণের জন্য কিছু করা উচিত।
  10. স্বাস্থ্যঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু করতে হবে যাতে গতকাল বা তার আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি ভাল থাকা যায়।
  11. বিস্ময়ঃ পিছন ফিরে দেখে, জীবনের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি নিয়ে বিস্ময়বোধ করা, যা আজ জীবনের জন্য আবশ্যক।
  12. চাঞ্চল্যঃ দিনে একবারের জন্য হলেও ভিতরের শিশুটাকে জাগিয়ে তোলা দরকার।
  13. কৃতজ্ঞতাঃ জীবন, পরিবার, বন্ধু, কাজ সর্বোপরি সব কিছুর জন্য আজ কৃতজ্ঞতা জানানোর প্রতিজ্ঞা করুন ।

সন্তানকে প্রথম যে দশটি জিনিস শেখানো উচিৎ


  1. আপনার শিশুর স্কুলের প্রথম বছরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে যদি আপনার শিশুকে তাঁর নিজের জুতার ফিতে বাঁধা শিখিয়ে দিতে পারেন তাহলে তাঁর যে মানুষিক দৃঢ়তা তৈরি হবে তা হয়তো আপনি বা আমরা কেউই কল্পনাও করতে পারব না। একবার ভাবতে পারেন স্কুলে কখনো তার জুতার ফিতে খুলে গেলে সে যদি আর দশটা শিশুর সামনে নিজে নিজেই তার ফিতে বাঁধতে পারে তাহলে তার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস কোথায় গিয়ে ঠেকবে।
  2. স্কুলের পড়ার ব্যাগ আপনি নিজে না গুছিয়ে আপনার শিশুকে করতে দিন। আপনি শুধু খেয়াল রাখুন সে ঠিক ঠাক বই খাতা নিচ্ছে কি না এতে ছোটবেলা থেকেই মানসিকভাবে গোছানো হয়ে গড়ে উঠবে।
  3. ক্লাসে ফার্স্ট বা সেকেন্ড হলো কি না সেটা আসলে শিশুর জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার না,তাই সে ক্লাসে কি পারলো আর কি পারল না সেটা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন না হয়ে সে তার স্কুলটা উপভোগ করছে কিনা সে দিকে নজর দেওয়া তার শারীরিক এবং মানসিক উভয়ের জন্যই ভালো।
  4. বাচ্চারা তার খেলনা নষ্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য তাকে বকাঝকা না করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তার ভিতরে খেলনাগুলোর যত্ন নেওয়ার বোধ সৃষ্টি করা যায়। 
  5. স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে দাম্পত্যে কলহ হবে এটাই স্বাভাবিক তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার শিশুটি যেন এর বলি না হয়। তার বাবা-মা এর মধ্যকার সম্পর্ক সে যেন সব সময় উপলব্ধি করে মধুর ,যা তার ভবিষ্যৎ ব্যক্তিগত জীবনে সুখের ছায়া ফেলবে।
  6. ভিক্ষুক বা কোথাও কোন কিছু দান করার সময় যতটা পারেন আপনার শিশুকে সাথে রাখতে,এতে তার মন উদার হবে। পৃথিবীকে সে আরও বেশী ভালবাসতে শিখবে।
  7. আপনার শিশুর মতামতকে তার সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন যেন সে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।এতে তার আত্মশ্রদ্ধা বাড়বে।
  8. সপ্তাহে অন্তত একটি দিন এবং ছুটির দিনগুলোতে আপনার শিশুকে একটু প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যান। তাকে ছেড়ে দিন খোলা হাওয়ায়,স্পর্শ করান মাটিকে।ধরতে দিন ফুলের উপর বসা রঙ্গিন প্রজাপ্রতিটি। দৌড় দিতে দিন,দিতে দিন ঝাঁপ।দেখবেন প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনার শিশুর মাঝে এক অপূর্ব ভালো লাগার স্নিগ্ধতার ছাপ ফেলে যাবে যা আপনি হাজার বা লক্ষ টাকা খরচ করেও কোন সুপার শপে পাবেন না।
  9. মোটামুটি পড়তে এবং লিখতে পারলে তাকে তার ব্যক্তিগত ডায়েরি লেখার বা আঁকার ব্যাপারে উৎসাহিত করুন।এতে সে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখবে,অনুভব করতে শিখবে। নিজের কাছে আত্মসমালোচনার দ্বার হবে উন্মুক্ত।
  10. পাঠ্যপুস্তকের বাইরে মজার মজার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে সে পুরো পৃথিবী নতুন করে চিনতে শিখবে।আপনার শিশু আপনারই অস্তিত্ব,আপনার সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পরিশেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়,

পূণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশদেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালোছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ সয়ে, আপনার হাতে সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া করে।

নারীরা যে ৬টি মাইন্ড গেম খেলে পুরুষের সাথে


কথায় আছে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। শুধু সংসার কেন, যে কোন সম্পর্কের ভালো মন্দটাই ছেলেদের চাইতে মেয়েদের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কেননা সহজাত ভাবেই সম্পর্ক নিয়ে নারীরা খেলে থাকেন কিছু মাইন্ড গেম! একটি সম্পর্ক কোন দিকে যাবে তা একজন পুরুষের ওপর যতটুকু নির্ভর করে, ঠিক ততোটুকুই একজন নারীর ওপরেও করে। কোন কোন ক্ষেত্রে এইসব মাইন্ড গেমের কারণে, নারীর ভূমিকাটা বরং যেন একটু বেশি।

কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, নারীরা অদ্ভুত কিছু খেলা খেলে থাকেন পছন্দের পুরুষের সাথে। খেলা না বলে বাজিয়ে দেখা বললে মনে হয় বেশি ভালো শোনায়। সব নারী নন, তবে কিছু নারী অবশ্যই এই কাজটি করে থাকেন। কেন? পছন্দের পুরুষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা, বাড়তি মনযোগ পাওয়া, চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে বা কমিটমেনটে রাজি করানো,নিজের অধিকার ফলানো সহ নানান রকম অদ্ভুত কারণ আছে এর নেপথ্যে। পুরুষের সাথে নারীদের মনস্তাত্ত্বিক এই খেলাকে মাইন্ড গেইম বলা যেতে পারে। দেখে নেয়া যাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরা যে মাইন্ড গেমগুলো খেলে থাকেন, সেগুলো আসলে কী!

বোকা ও অসহায় সেজে থাকা: 
বেশিরভাগ পুরুষ ভাবেন মেয়েরা বোকা। বিশেষ করে নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ধারণা আরও অনেক বেশি পোক্ত। তবে জেনে রাখুন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধারণা মেয়েটি স্বয়ং তৈরি করে থাকে! কেননা তাতে চোখের অলক্ষ্যেই সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় নিজের হাতে। এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে সম্পর্ক ও সামাজিকতার সুক্ষ্ম চালগুলো মেয়েরা অনেক বেশি ভালো বোঝে। ফলে বেশিরভাগ নারীই তার পছন্দের পুরুষের সামনে বোকা ও অসহায় সেজে থাকার এক প্রকারের নাটক করে, যে নাটক পুরুষটির সাথে তার সম্পর্ককে করে তোলে অনেক বেশি পোক্ত। আর এই জন্যই বন্ধু মহলে অনেক মারকুটে স্বভাবের একটি মেয়েই নিজের প্রেমিকের সামনে দেখা যাচ্ছে একদম পরনির্ভরশীল একজন মানুষে পরিণত হয়।

কিন্তু কেন করে এমন?
এর কারন হিসেবে সাইকোলজিক্যাল এক্সপার্টরা পুরুষের বোকামিকেই দায়ী মনে করেন। অনেক ছেলেই বোকা মেয়েদেরকে বেশি পছন্দ করে। কথাটি ঘুরিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, অনেক ছেলেই চান না তার সঙ্গী তার থেকে বেশি বুঝুক বা বেশি বুদ্ধিমতী হোক। সঙ্গিনী আত্মনির্ভর হওয়ার চাইতে তার প্রতি নির্ভরশীল হওয়াটাই অধিক পছন্দ করেন বেশিরভাগ পুরুষ। এবং পৃথিবীতে কোন পুরুষই চান না যে স্ত্রী বা প্রেমিকা তার চাইতে বেশি সফল বা বেশি স্মার্ট হোক। পছন্দের পুরুষের এই চাওয়া পূরণ করতেই বা চাওয়া পূরণের মাধ্যমে পুরুষটিকে আপন করে পেতেই মেয়েরা খেলে থাকে এই বোকা ও অসহায় সাজার মাইন্ড গেম!একজন পুরুষ তাকে সারাক্ষণ দেখেশুনে রাখছেন কিংবা তার সমস্ত খুঁটিনাটি ভালোমন্দের দিকে খেয়াল দিচ্ছেন-এই ব্যাপারটি নারীরা রীতিমত উপভোগ করেন ও এটাই কামনা করেন সম্পর্কে।

অপেক্ষা করানো: 
অপেক্ষা করানো নারীদের স্বভাব-এ কথা সহজেই স্বীকার করে নেবেন বেশিরভাগ পুরুষ। তবে জেনে রাখুন,এটা নারীর সভাব নয়, বরং তার মাইন্ড গেমের সূক্ষ্ম একটা চাল। খুব সাধারণ একটি উদাহরণ দেই- ডেটিং এর ক্ষেত্রে বেশির সময় ছেলেটিকেই অপেক্ষা করতে হয়। দেখা গেল প্রেমিক নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর পর প্রেমিকা বাসা থেকে বের হচ্ছে। এসব ছাড়াও প্রেমের প্রস্তাবে "হ্যাঁ" বলতে দেরি করা সহ নানান বিষয়ে নারীরা প্রেমিককে অপেক্ষা করান।

কিন্তু নারীরা কেন এই কাজটি করেন?
অনেকে ভাবেন মেয়েরা এই কাজটি করে বেশ মজা পান। কিন্তু সাইকোলজিস্টদের মতে মেয়েরা মনস্তাত্ত্বিক কারনে এই কাজটি করে থাকেন। তারা বলেন এই কাজটির মাধ্যমে মেয়েরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবতে পারেন। এবং সম্পর্কে তার নিজের একটি ভালো অবস্থান গড়ে নেয়ার জন্য এই কাজটি মেয়েরা করেন। এতে আবার ছেলেরা ভেবে বসবেন না যে এখন থেকে আর সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করব না। না করলে কিন্তু হারাতে হবে সঙ্গিনীকে!

কথার সূক্ষ্ম প্যাঁচে ফেলা: 
একটি কাজ মেয়েরা হরহামেশাই করে থাকেন আর তা হলো, কোন বিশেষ পোশাকে কিংবা মেকআপে তাকে কেমন দেখাচ্ছে তা সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করা। এটা আরেকটি প্যাঁচালো মাইন্ড গেম। কারণ সঙ্গী ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক যাই উত্তর দিক না কেন, মেয়েরা নিজেদের মনে দুইটি উত্তরের জন্যই জবাব তৈরি করে রাখে। যেমন, যদি সঙ্গী বলেন ভালো দেখাচ্ছে না, তাহলে কী হবে সেটা বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি বলেন ভালো দেখাচ্ছে, সঙ্গিনী তখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেশ করবেন যে- কোনটা ভালো দেখাচ্ছে? এতদিন কি তবে ভালো দেখাত না? ভালো না লাগলে আগে বলেনি কেন? ইত্যাদি আরও নানান কথার মারপ্যাঁচ। সুতরাং এই মাইন্ড গেমে পুরুষ যাই বলুন না কেন, বিপদে পড়া এক প্রকার অনিবার্য। ছেলেদের জন্য বলছি মিষ্টি হেসে সোজা করে উত্তর দিন-”তোমাকে সব কিছুতেই ভালো লাগে”, কেননা নারী এই জবাবটিই শুনতে চান। নিশ্চিত হতে চান যে আপনার চোখে তিনিই সেরা সুন্দরী।

নিজেকে দুষ্প্রাপ্য করে তোলা: 
বেশিরভাগ নারীই নিজেকে দুষ্প্রাপ্য করে রাখতে ভালোবাসেন। এমন একটি অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে ভালোবাসেন, যেখানে পৌঁছাতে হলে পুরুষটিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। যেমন, প্রেমিককে সময় না দেয়া কিংবা নানান বাহানায় সময় দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক বাহানাই দিয়ে থাকেন নারীরা এই দুষ্প্রাপ্য করে তোলার কৌশলে। একজন পুরুষ তাকে পাবার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছে, কিংবা যে কোন পরিস্থিতিতে তাকে পাবার জন্য ব্যাকুল-এই ব্যাপারটি নিয়ে নারীরা এক রকম অহংকার বোধ করে থাকেন।

অন্য পুরুষ সম্পর্কে ঈর্ষা তৈরি করা: 
এই খেলাটিও বেশিরভাগ নারী খেলে থাকেন। বিশেষ করে পছন্দের পুরুষটি যখন তাকে অবহেলা করে বা খারাপ ব্যবহার করে,তখন নারীর মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে অন্য একজন পুরুষ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নারীরা ইচ্ছা করেই অন্য একজন পুরুষের দিকে মনযোগী হচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই পুরুষটি হয়ে থাকে প্রেমিকেরই কোন বন্ধু বা নারীটির প্রাক্তন প্রেমিক। অনেক নারী আবার কাল্পনিক পুরুষ চরিত্র তৈরি করে প্রেমিককে নানান রকম মনগড়া কাহিনী শুনিয়ে থাকেন। সবমিলিয়ে ব্যাপার আর কিছুই নয়, প্রেমিকের মনে এক রকমের ঈর্ষা তৈরি করা। এই ঈর্ষা পুরুষের মাঝে এত প্রবল হয় যে পছন্দের নারী অন্য কারো দিকে মনযোগী হচ্ছে এটা চিন্তা করেই তারা আবার প্রেমিকার দিকে মনযোগী হয়।

আগ্রহ না দেখানো: 
এই খেলাটি অনেক মেয়েরাই সম্পর্কের শুরুতে করে থাকেন। সঙ্গীর কাছে সে কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা পরীক্ষা করার জন্য। মেয়েরা জন্মগতভাবেই খুব কৌতূহলী স্বভাবের হয়ে থাকে। সব ব্যাপারেই খুঁটিনাটি মেয়েদের জানার আগ্রহ বেশি থাকে। কিন্তু সম্পর্কের শুরুতে একটি মেয়ে তার সঙ্গীর কাছে কোন ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে জানার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখায়, কিংবা সঙ্গীর কোন ব্যাপারেই বিশেষ গুরুত্ব বা আগ্রহ দেখান না। এর পিছনে কারন রয়েছে। এর কারন হলো মেয়েটি জানতে চান ছেলেটির কাছে তিনি কতোটুকু গুরুত্ব পাচ্ছেন। কারন মেয়েটি ভেবে নেয়,” আমি যদি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হই তাহলে সে নিজেই আমাকে সব বলবে, আর তাই নিশ্চিত থাকুন যে তাদের অনাগ্রহ প্রকাশ আসলে ভেতরে ভেতরে অতি আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ।

Tuesday, February 25, 2014

Read before your Marriage


Dear Brother,
The day you marry your wife, is the day ALLAH places a trust and responsibility on you to give her the rights as a wife and she becomes your family, your comforter, the mother of your children.. So fear ALLAH in regards to your duties as a husband.

Dear Sister,
When you marry your husband you leave your birth home and you become a real woman. Your husband becomes your family, your maintainer and protector, the father of children, your friend and lover so treat him well and follow him to the ends of the earth.. Fear ALLAH in regards to how you treat him.

Marriage in Islam completes half of your deen. Do not be swayed by good looks or money as these will come and go. Marry a man who Truly fears and loves ALLAH.. Who puts Islam 1st before anything. Learn and walk in deen together. Go in a marriage with the purpose in getting closer to ALLAH and In sha’ ALLAH it will be a blessed marriage!

Monday, January 6, 2014

জেনে নিন ইংরেজী শব্দের মজার মজার কিছু তথ্য


  1. Mozambique এমন একটি দেশের নাম যাতে সবগুলো vowel আছে।
  2. “a quick brown fox jumps over the lazy dog” বাক্যটিতে ইংরেজি ২৬টি অক্ষর আছে।
  3. “ i am” সবচেয়ে ছোট ইংরেজি বাক্য।
  4. “Education” ও “Favourite” শব্দে সবগুলো vowel আছে।
  5. “Abstemious ও Facetious ” শব্দে সবগুলো vowel আছে। মজার ব্যাপার হল শব্দের vowel গুলো ক্রমানুসারে (a-e-i-o-u) আছে।
  6. Q দিয়ে গঠিত সকল শব্দে Qএ পরে u আছে।
  7. Rhythm সবচেয়ে দীঘ ইংরেজি শব্দ যার মধ্যে vowel নাই।
  8. Floccinaucinihilipilification সবচেয়ে বেশি vowel সমৃদ্ধ শব্দ যাতে ১৮টি vowel আছে।
  9. vowel যুক্ত সবচেয়ে ছোট শব্দ হল A (একটি) ও I (আমি) ।
  10. vowel বিহীন সবচেয়ে ছোট শব্দ হল By।
  11. Assassination মনে রাখার সহজ উপায়হল গাধা-গাধা-আমি-জাতি।
  12. Lieutenant শব্দের উচ্চারণ লেফট্যান্যান্ট বানান মনে রাখার সহজ উপায় হল মিথ্যা-তুমি-দশ-পিপড়া।
  13. “Uncomplimentary” শব্দে সবগুলো vowel আছে। মজার ব্যাপার হলশব্দের vowel গুলো উল্টো ক্রমানুসারে ( u-o-i-e-a) আছে।
  14. “Exclusionary” ৫টি vowel সমৃদ্ধ এমন একটি শব্দ যার মধ্যে কোন অক্ষরের পূনারাবৃত্তি নাই।
  15. “study, hijak, nope, deft” শব্দগুলোর প্রথম ৩ টি অক্ষর ক্রমানুসারে আছে।
  16. “Executive ও Future” এমন দুটি শব্দ যাদের এক অক্ষর পর পর vowel আছে।
  17. 80 কে letter marks বলা হ্য় কারণ L=12, E=5, T=20, T=20, E=5, R=18 (অক্ষরের অবস্হানগত সংখ্যা) সুতরাং 12 5 20 20 5 18=80
  18. A1 একমাত্র শব্দ যাতে ইংরেজী অক্ষর ও সংখ্যা আছে।