Friday, February 28, 2014

কর্মক্ষেত্রে ৩টি সেরা উপহার যা আপনি দিতে পারেন

তারিফ করা
আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এমন সময় আপনার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে আপনাকে বলল যে সে আপনার কাজের নীতির ভক্ত এবং তার মতে আপনি প্রতিষ্ঠানে অনেক ভাল করতে পারবেন। এই কথাটি আপনার কিন্তু সব সময় মনে দাগ কেটে থাকবে। তার সেই তারিফের ফলে আপনি কাজের জন্য প্রেরণা পাবেন এবং হয়ত ভবিষ্যতে প্রমোশনও পেয়ে যেতে পারেন। উপযুক্ত সময় ও স্থানে কোন তারিফ করলে সেটার আমেজ সব সময়ই থেকে যায়।

সম্মান দেওয়া
অনেক বিনয়ী মানুষই আছে যারা নিজেরা যতটা সম্মান পেয়েছে তার থেকে অন্যদেরকে বেশি সম্মান দিতে পছন্দ করে। কোন আইডিয়া বা অর্জন যদি তাদের হয়েও থাকে, তাদের দল বা অন্য কাউকেই তারা এর কৃতিত্ব দিয়ে থাকে। এটি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা স্বরূপ। প্রতিটি ভাল আইডিয়া বা স্ট্র্যাটেজিই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। পুরোপুরি প্রাপ্য না হলেও যে কাউকে তার কাজ বা অর্জনের জন্য কৃতিত্ব দিন এবং হয়ত আপনার ব্যবসার পরবর্তী বড় আইডিয়াটি তার মাথা থেকেই আসতে পারে।

সাহস দেওয়া
চাপের সময় মানুষ স্থিতিশীলতা খোঁজে। বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এছাড়াও অন্য আরো অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেই চলছে। এই সময়েই কিন্তু নেতাদেরকে সামনে এগিয়ে এসে অন্যদেরকে সাহস দিয়ে বলতে হবে যে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কারণ এখনই সাহস দেওয়ার সময়। আপনার দেওয়া সাহসেই অন্যরা এগিয়ে যাবে এবং ভরসা পাবে যা তাদের মনোবল দৃঢ় করে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।

১৩টি প্রতিজ্ঞা যা আপনাকে আরও বেশী উদ্দীপ্ত করবে

  1. সৃজনশীলতাঃ প্রতিজ্ঞা করুন আজ নতুন এবং ভিন্ন ধর্মী কিছু করে পৃথিবীকে আরও সুন্দর করার। 
  2. ক্ষমতাবান হাওয়াঃ প্রতিজ্ঞা করুন আজ আরও শক্তিশালী হতে হবে যাতে অধ্যবসায় ও নমনীয়তা দিয়ে সকল বাঁধা দূর করা যায়।
  3. উদ্দীপনা: আজ কি হতে পারে তা ভেবে নিজেকে উদ্দীপ্ত করা যায়।
  4. বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আজ কুসংস্কারমুক্ত অবস্থায় চিন্তা করে তা দেখা যায় যা এতদিন দেখা হয়নি।
  5. উপলব্ধিঃ আজ অবশ্যই তার সচেতন অস্তিত্বের উপস্থিতি উপলব্ধি করা যায় যা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে এবং যা দ্রুতই শেষ হচ্ছে।
  6. সংবেদনশীলতাঃ আজ অনুভূতি গুলোর ব্যাপারে সচেতন থেকে বুঝতে চেষ্টা করা যায় তা নিজস্বতার উপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করে আছে।
  7. চিত্তবিনোদনঃ দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টা নিজেকে আনন্দ দেবার জন্য কিছু করা চাই।
  8. সুখানুভবঃ এই মুহূর্তে যাই হোক না কেন তাই করা উচিত যা ভাল থাকতে সাহায্য করে।
  9. কর্মশক্তিঃ আজ নিজের ক্ষমতা বলে অন্যদের কল্যাণের জন্য কিছু করা উচিত।
  10. স্বাস্থ্যঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু করতে হবে যাতে গতকাল বা তার আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি ভাল থাকা যায়।
  11. বিস্ময়ঃ পিছন ফিরে দেখে, জীবনের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি নিয়ে বিস্ময়বোধ করা, যা আজ জীবনের জন্য আবশ্যক।
  12. চাঞ্চল্যঃ দিনে একবারের জন্য হলেও ভিতরের শিশুটাকে জাগিয়ে তোলা দরকার।
  13. কৃতজ্ঞতাঃ জীবন, পরিবার, বন্ধু, কাজ সর্বোপরি সব কিছুর জন্য আজ কৃতজ্ঞতা জানানোর প্রতিজ্ঞা করুন ।

সন্তানকে প্রথম যে দশটি জিনিস শেখানো উচিৎ


  1. আপনার শিশুর স্কুলের প্রথম বছরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে যদি আপনার শিশুকে তাঁর নিজের জুতার ফিতে বাঁধা শিখিয়ে দিতে পারেন তাহলে তাঁর যে মানুষিক দৃঢ়তা তৈরি হবে তা হয়তো আপনি বা আমরা কেউই কল্পনাও করতে পারব না। একবার ভাবতে পারেন স্কুলে কখনো তার জুতার ফিতে খুলে গেলে সে যদি আর দশটা শিশুর সামনে নিজে নিজেই তার ফিতে বাঁধতে পারে তাহলে তার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস কোথায় গিয়ে ঠেকবে।
  2. স্কুলের পড়ার ব্যাগ আপনি নিজে না গুছিয়ে আপনার শিশুকে করতে দিন। আপনি শুধু খেয়াল রাখুন সে ঠিক ঠাক বই খাতা নিচ্ছে কি না এতে ছোটবেলা থেকেই মানসিকভাবে গোছানো হয়ে গড়ে উঠবে।
  3. ক্লাসে ফার্স্ট বা সেকেন্ড হলো কি না সেটা আসলে শিশুর জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার না,তাই সে ক্লাসে কি পারলো আর কি পারল না সেটা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন না হয়ে সে তার স্কুলটা উপভোগ করছে কিনা সে দিকে নজর দেওয়া তার শারীরিক এবং মানসিক উভয়ের জন্যই ভালো।
  4. বাচ্চারা তার খেলনা নষ্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য তাকে বকাঝকা না করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তার ভিতরে খেলনাগুলোর যত্ন নেওয়ার বোধ সৃষ্টি করা যায়। 
  5. স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে দাম্পত্যে কলহ হবে এটাই স্বাভাবিক তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার শিশুটি যেন এর বলি না হয়। তার বাবা-মা এর মধ্যকার সম্পর্ক সে যেন সব সময় উপলব্ধি করে মধুর ,যা তার ভবিষ্যৎ ব্যক্তিগত জীবনে সুখের ছায়া ফেলবে।
  6. ভিক্ষুক বা কোথাও কোন কিছু দান করার সময় যতটা পারেন আপনার শিশুকে সাথে রাখতে,এতে তার মন উদার হবে। পৃথিবীকে সে আরও বেশী ভালবাসতে শিখবে।
  7. আপনার শিশুর মতামতকে তার সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন যেন সে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।এতে তার আত্মশ্রদ্ধা বাড়বে।
  8. সপ্তাহে অন্তত একটি দিন এবং ছুটির দিনগুলোতে আপনার শিশুকে একটু প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যান। তাকে ছেড়ে দিন খোলা হাওয়ায়,স্পর্শ করান মাটিকে।ধরতে দিন ফুলের উপর বসা রঙ্গিন প্রজাপ্রতিটি। দৌড় দিতে দিন,দিতে দিন ঝাঁপ।দেখবেন প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনার শিশুর মাঝে এক অপূর্ব ভালো লাগার স্নিগ্ধতার ছাপ ফেলে যাবে যা আপনি হাজার বা লক্ষ টাকা খরচ করেও কোন সুপার শপে পাবেন না।
  9. মোটামুটি পড়তে এবং লিখতে পারলে তাকে তার ব্যক্তিগত ডায়েরি লেখার বা আঁকার ব্যাপারে উৎসাহিত করুন।এতে সে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখবে,অনুভব করতে শিখবে। নিজের কাছে আত্মসমালোচনার দ্বার হবে উন্মুক্ত।
  10. পাঠ্যপুস্তকের বাইরে মজার মজার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে সে পুরো পৃথিবী নতুন করে চিনতে শিখবে।আপনার শিশু আপনারই অস্তিত্ব,আপনার সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পরিশেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়,

পূণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশদেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালোছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ সয়ে, আপনার হাতে সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া করে।

নারীরা যে ৬টি মাইন্ড গেম খেলে পুরুষের সাথে


কথায় আছে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। শুধু সংসার কেন, যে কোন সম্পর্কের ভালো মন্দটাই ছেলেদের চাইতে মেয়েদের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কেননা সহজাত ভাবেই সম্পর্ক নিয়ে নারীরা খেলে থাকেন কিছু মাইন্ড গেম! একটি সম্পর্ক কোন দিকে যাবে তা একজন পুরুষের ওপর যতটুকু নির্ভর করে, ঠিক ততোটুকুই একজন নারীর ওপরেও করে। কোন কোন ক্ষেত্রে এইসব মাইন্ড গেমের কারণে, নারীর ভূমিকাটা বরং যেন একটু বেশি।

কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, নারীরা অদ্ভুত কিছু খেলা খেলে থাকেন পছন্দের পুরুষের সাথে। খেলা না বলে বাজিয়ে দেখা বললে মনে হয় বেশি ভালো শোনায়। সব নারী নন, তবে কিছু নারী অবশ্যই এই কাজটি করে থাকেন। কেন? পছন্দের পুরুষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা, বাড়তি মনযোগ পাওয়া, চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে বা কমিটমেনটে রাজি করানো,নিজের অধিকার ফলানো সহ নানান রকম অদ্ভুত কারণ আছে এর নেপথ্যে। পুরুষের সাথে নারীদের মনস্তাত্ত্বিক এই খেলাকে মাইন্ড গেইম বলা যেতে পারে। দেখে নেয়া যাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরা যে মাইন্ড গেমগুলো খেলে থাকেন, সেগুলো আসলে কী!

বোকা ও অসহায় সেজে থাকা: 
বেশিরভাগ পুরুষ ভাবেন মেয়েরা বোকা। বিশেষ করে নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ধারণা আরও অনেক বেশি পোক্ত। তবে জেনে রাখুন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধারণা মেয়েটি স্বয়ং তৈরি করে থাকে! কেননা তাতে চোখের অলক্ষ্যেই সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় নিজের হাতে। এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে সম্পর্ক ও সামাজিকতার সুক্ষ্ম চালগুলো মেয়েরা অনেক বেশি ভালো বোঝে। ফলে বেশিরভাগ নারীই তার পছন্দের পুরুষের সামনে বোকা ও অসহায় সেজে থাকার এক প্রকারের নাটক করে, যে নাটক পুরুষটির সাথে তার সম্পর্ককে করে তোলে অনেক বেশি পোক্ত। আর এই জন্যই বন্ধু মহলে অনেক মারকুটে স্বভাবের একটি মেয়েই নিজের প্রেমিকের সামনে দেখা যাচ্ছে একদম পরনির্ভরশীল একজন মানুষে পরিণত হয়।

কিন্তু কেন করে এমন?
এর কারন হিসেবে সাইকোলজিক্যাল এক্সপার্টরা পুরুষের বোকামিকেই দায়ী মনে করেন। অনেক ছেলেই বোকা মেয়েদেরকে বেশি পছন্দ করে। কথাটি ঘুরিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, অনেক ছেলেই চান না তার সঙ্গী তার থেকে বেশি বুঝুক বা বেশি বুদ্ধিমতী হোক। সঙ্গিনী আত্মনির্ভর হওয়ার চাইতে তার প্রতি নির্ভরশীল হওয়াটাই অধিক পছন্দ করেন বেশিরভাগ পুরুষ। এবং পৃথিবীতে কোন পুরুষই চান না যে স্ত্রী বা প্রেমিকা তার চাইতে বেশি সফল বা বেশি স্মার্ট হোক। পছন্দের পুরুষের এই চাওয়া পূরণ করতেই বা চাওয়া পূরণের মাধ্যমে পুরুষটিকে আপন করে পেতেই মেয়েরা খেলে থাকে এই বোকা ও অসহায় সাজার মাইন্ড গেম!একজন পুরুষ তাকে সারাক্ষণ দেখেশুনে রাখছেন কিংবা তার সমস্ত খুঁটিনাটি ভালোমন্দের দিকে খেয়াল দিচ্ছেন-এই ব্যাপারটি নারীরা রীতিমত উপভোগ করেন ও এটাই কামনা করেন সম্পর্কে।

অপেক্ষা করানো: 
অপেক্ষা করানো নারীদের স্বভাব-এ কথা সহজেই স্বীকার করে নেবেন বেশিরভাগ পুরুষ। তবে জেনে রাখুন,এটা নারীর সভাব নয়, বরং তার মাইন্ড গেমের সূক্ষ্ম একটা চাল। খুব সাধারণ একটি উদাহরণ দেই- ডেটিং এর ক্ষেত্রে বেশির সময় ছেলেটিকেই অপেক্ষা করতে হয়। দেখা গেল প্রেমিক নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর পর প্রেমিকা বাসা থেকে বের হচ্ছে। এসব ছাড়াও প্রেমের প্রস্তাবে "হ্যাঁ" বলতে দেরি করা সহ নানান বিষয়ে নারীরা প্রেমিককে অপেক্ষা করান।

কিন্তু নারীরা কেন এই কাজটি করেন?
অনেকে ভাবেন মেয়েরা এই কাজটি করে বেশ মজা পান। কিন্তু সাইকোলজিস্টদের মতে মেয়েরা মনস্তাত্ত্বিক কারনে এই কাজটি করে থাকেন। তারা বলেন এই কাজটির মাধ্যমে মেয়েরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবতে পারেন। এবং সম্পর্কে তার নিজের একটি ভালো অবস্থান গড়ে নেয়ার জন্য এই কাজটি মেয়েরা করেন। এতে আবার ছেলেরা ভেবে বসবেন না যে এখন থেকে আর সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করব না। না করলে কিন্তু হারাতে হবে সঙ্গিনীকে!

কথার সূক্ষ্ম প্যাঁচে ফেলা: 
একটি কাজ মেয়েরা হরহামেশাই করে থাকেন আর তা হলো, কোন বিশেষ পোশাকে কিংবা মেকআপে তাকে কেমন দেখাচ্ছে তা সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করা। এটা আরেকটি প্যাঁচালো মাইন্ড গেম। কারণ সঙ্গী ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক যাই উত্তর দিক না কেন, মেয়েরা নিজেদের মনে দুইটি উত্তরের জন্যই জবাব তৈরি করে রাখে। যেমন, যদি সঙ্গী বলেন ভালো দেখাচ্ছে না, তাহলে কী হবে সেটা বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি বলেন ভালো দেখাচ্ছে, সঙ্গিনী তখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেশ করবেন যে- কোনটা ভালো দেখাচ্ছে? এতদিন কি তবে ভালো দেখাত না? ভালো না লাগলে আগে বলেনি কেন? ইত্যাদি আরও নানান কথার মারপ্যাঁচ। সুতরাং এই মাইন্ড গেমে পুরুষ যাই বলুন না কেন, বিপদে পড়া এক প্রকার অনিবার্য। ছেলেদের জন্য বলছি মিষ্টি হেসে সোজা করে উত্তর দিন-”তোমাকে সব কিছুতেই ভালো লাগে”, কেননা নারী এই জবাবটিই শুনতে চান। নিশ্চিত হতে চান যে আপনার চোখে তিনিই সেরা সুন্দরী।

নিজেকে দুষ্প্রাপ্য করে তোলা: 
বেশিরভাগ নারীই নিজেকে দুষ্প্রাপ্য করে রাখতে ভালোবাসেন। এমন একটি অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে ভালোবাসেন, যেখানে পৌঁছাতে হলে পুরুষটিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। যেমন, প্রেমিককে সময় না দেয়া কিংবা নানান বাহানায় সময় দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক বাহানাই দিয়ে থাকেন নারীরা এই দুষ্প্রাপ্য করে তোলার কৌশলে। একজন পুরুষ তাকে পাবার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছে, কিংবা যে কোন পরিস্থিতিতে তাকে পাবার জন্য ব্যাকুল-এই ব্যাপারটি নিয়ে নারীরা এক রকম অহংকার বোধ করে থাকেন।

অন্য পুরুষ সম্পর্কে ঈর্ষা তৈরি করা: 
এই খেলাটিও বেশিরভাগ নারী খেলে থাকেন। বিশেষ করে পছন্দের পুরুষটি যখন তাকে অবহেলা করে বা খারাপ ব্যবহার করে,তখন নারীর মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে অন্য একজন পুরুষ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নারীরা ইচ্ছা করেই অন্য একজন পুরুষের দিকে মনযোগী হচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই পুরুষটি হয়ে থাকে প্রেমিকেরই কোন বন্ধু বা নারীটির প্রাক্তন প্রেমিক। অনেক নারী আবার কাল্পনিক পুরুষ চরিত্র তৈরি করে প্রেমিককে নানান রকম মনগড়া কাহিনী শুনিয়ে থাকেন। সবমিলিয়ে ব্যাপার আর কিছুই নয়, প্রেমিকের মনে এক রকমের ঈর্ষা তৈরি করা। এই ঈর্ষা পুরুষের মাঝে এত প্রবল হয় যে পছন্দের নারী অন্য কারো দিকে মনযোগী হচ্ছে এটা চিন্তা করেই তারা আবার প্রেমিকার দিকে মনযোগী হয়।

আগ্রহ না দেখানো: 
এই খেলাটি অনেক মেয়েরাই সম্পর্কের শুরুতে করে থাকেন। সঙ্গীর কাছে সে কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা পরীক্ষা করার জন্য। মেয়েরা জন্মগতভাবেই খুব কৌতূহলী স্বভাবের হয়ে থাকে। সব ব্যাপারেই খুঁটিনাটি মেয়েদের জানার আগ্রহ বেশি থাকে। কিন্তু সম্পর্কের শুরুতে একটি মেয়ে তার সঙ্গীর কাছে কোন ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে জানার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখায়, কিংবা সঙ্গীর কোন ব্যাপারেই বিশেষ গুরুত্ব বা আগ্রহ দেখান না। এর পিছনে কারন রয়েছে। এর কারন হলো মেয়েটি জানতে চান ছেলেটির কাছে তিনি কতোটুকু গুরুত্ব পাচ্ছেন। কারন মেয়েটি ভেবে নেয়,” আমি যদি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হই তাহলে সে নিজেই আমাকে সব বলবে, আর তাই নিশ্চিত থাকুন যে তাদের অনাগ্রহ প্রকাশ আসলে ভেতরে ভেতরে অতি আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ।

Tuesday, February 25, 2014

Read before your Marriage


Dear Brother,
The day you marry your wife, is the day ALLAH places a trust and responsibility on you to give her the rights as a wife and she becomes your family, your comforter, the mother of your children.. So fear ALLAH in regards to your duties as a husband.

Dear Sister,
When you marry your husband you leave your birth home and you become a real woman. Your husband becomes your family, your maintainer and protector, the father of children, your friend and lover so treat him well and follow him to the ends of the earth.. Fear ALLAH in regards to how you treat him.

Marriage in Islam completes half of your deen. Do not be swayed by good looks or money as these will come and go. Marry a man who Truly fears and loves ALLAH.. Who puts Islam 1st before anything. Learn and walk in deen together. Go in a marriage with the purpose in getting closer to ALLAH and In sha’ ALLAH it will be a blessed marriage!