- কারো কোলে বসা (এমনকি চাচা, মামা ইত্যাদি) থেকে আপনার শিশু কন্যাকে বিরত রাখুন বা সাবধানতা বজায় রাখুন।
- সন্তান ২ বছর বয়স হলে (ছেলে/মেয়ে) তার সামনে নিজের পোশাক পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকুন।
- কোন বয়স্ক ব্যক্তি (সে যতই নিকটাত্মীয় হোক না কেন) যেন আপনার সন্তানকে ‘আমার বউ’ বা ‘আমার বর’ বলে সম্বোধন না করে, সে ব্যপারে কঠোর ও অনমনীয় থাকবেন।
- যখনই আপনার সন্তান বাইরে (আপনার চোখের আড়ালে) খেলতে যাবে, জানার চেষ্টা করুন তারা কোন ধরনের খেলা খেলে এবং কার সাথে ও কোন বয়সী বাচ্চাদের সাথে খেলে?
- কারো কাছে থাকার জন্য কক্ষনই আপনার বাচ্চাকে (ছেলে/মেয়ে) বাধ্য বা জোর করবেন না, বিশেষ করে সে (বাচ্চা) যদি থাকতে না চায় বা অস্বস্তির ভাব দেখায়। এমনকি, হঠাৎ করেই যদি আপনার সন্তান কোন বিশেষ কারো সাথে থাকতে চায় বা তার প্রতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী অনুরক্ত আচরণ করে তবে বিষয়টি অনুসন্ধান করবেন।
- কোন প্রাণবন্ত বা খুবই হাসিখুশি বাচ্চা যদি হঠাৎ করে খুব বিমর্ষ বা চুপচাপ অথবা সব কাজেই অনাগ্রহ দেখায়, তাহলে সময় ও ধৈর্যশীলতার সাথে এর কারণ অনুসন্ধান করুন।
- শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে তখন নারী-পুরুষের শারীরিক সম্পর্ক (right values of sex) সম্মন্ধে সঠিক শিক্ষা দিন। যদি আপনি সেটা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার পারিপার্শ্বিক সমাজ ও বন্ধুরা তাকে সেই শিক্ষা দেবে; এবং সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল বা বিকৃত শিক্ষা হবে।
- আপনার শিশুর জন্য যদি কোন ভিডিও বা কার্টুন কিনে আনেন, তবে সে (শিশু) দেখার আগে আপনারা দুজন (বাবা-মা) দেখে নিবেন এটা আসলেই তার দেখার উপযোগী কি না।
- আপনার বাসায় যদি ক্যাবল টিভি থাকে তাহলে সেটি কঠোর প্যারেনটাল কন্ট্রোলের আওতায় আনুন, যেন আপনার অনুপস্থিতিতে শিশুর টিভিতে কোন ধরনের অশালীন- অপ্রীতিকর দৃশ্য দেখার সম্ভবনা না থাকে। আপনার শিশুর যারা খেলার সাথী, তাদের অভিভাবকদেরকেও এই ব্যপারে পরামর্শ দিন।
- আপনার তিন বছরের সন্তানকে ভালভাবে তার লজ্জাস্থানসমূহ পরিষ্কার করা শেখান। এবং সতর্ক করে দিন যেন কেউ তার সেই সব স্থান স্পর্শ না করে বা করার চেষ্টা না করে। (এমনকি আপনিও পারতপক্ষে এটি থেকে বিরত থাকবেন)
- আপনার সন্তানের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কিছু জিনিস এমনকি কিছু ব্যক্তিকেও ব্ল্যাকলিস্টের অন্তর্ভুক্ত করুন (বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান [গান, মুভি, সিরিয়াল, কার্টুন], ভিডিও গেইম, ক্ষতিকর আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব ইত্যাদি)।
- আপনার সন্তানকে নৈতিকতায় স্বতন্ত্র বা লাখে একজন (the value of standing out of the crowd) হওয়ার আবশ্যকতা শেখান।
- আপনার সন্তান যখন কোন ব্যক্তি সম্পর্কে অভিযোগ করবে (যতই অবাস্তব/ অসম্ভব/অকল্পনীয় সেই অভিযোগ হোক না কেন), অবশ্যই জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি অনুসন্ধান করবেন। এবং সবসময় আপনার সন্তানের পাশে থাকবেন। আপনার সন্তান জানু্ক যে, আপনি তাকে রক্ষা করার ক্ষমতা ও সাহস রাখেন। মনে রাখবেন, আপনি হয় অভিভাবক অথবা ভবিষ্যৎ।
Showing posts with label Life Style. Show all posts
Showing posts with label Life Style. Show all posts
Monday, October 27, 2014
সচেতন অভিভাবকদের মনে রাখা ও পালন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস
Friday, February 28, 2014
কর্মক্ষেত্রে ৩টি সেরা উপহার যা আপনি দিতে পারেন
তারিফ করা
সম্মান দেওয়া
সাহস দেওয়া
আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এমন সময় আপনার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে আপনাকে বলল যে সে আপনার কাজের নীতির ভক্ত এবং তার মতে আপনি প্রতিষ্ঠানে অনেক ভাল করতে পারবেন। এই কথাটি আপনার কিন্তু সব সময় মনে দাগ কেটে থাকবে। তার সেই তারিফের ফলে আপনি কাজের জন্য প্রেরণা পাবেন এবং হয়ত ভবিষ্যতে প্রমোশনও পেয়ে যেতে পারেন। উপযুক্ত সময় ও স্থানে কোন তারিফ করলে সেটার আমেজ সব সময়ই থেকে যায়।
সম্মান দেওয়া
অনেক বিনয়ী মানুষই আছে যারা নিজেরা যতটা সম্মান পেয়েছে তার থেকে অন্যদেরকে বেশি সম্মান দিতে পছন্দ করে। কোন আইডিয়া বা অর্জন যদি তাদের হয়েও থাকে, তাদের দল বা অন্য কাউকেই তারা এর কৃতিত্ব দিয়ে থাকে। এটি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা স্বরূপ। প্রতিটি ভাল আইডিয়া বা স্ট্র্যাটেজিই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। পুরোপুরি প্রাপ্য না হলেও যে কাউকে তার কাজ বা অর্জনের জন্য কৃতিত্ব দিন এবং হয়ত আপনার ব্যবসার পরবর্তী বড় আইডিয়াটি তার মাথা থেকেই আসতে পারে।
সাহস দেওয়া
চাপের সময় মানুষ স্থিতিশীলতা খোঁজে। বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এছাড়াও অন্য আরো অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেই চলছে। এই সময়েই কিন্তু নেতাদেরকে সামনে এগিয়ে এসে অন্যদেরকে সাহস দিয়ে বলতে হবে যে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কারণ এখনই সাহস দেওয়ার সময়। আপনার দেওয়া সাহসেই অন্যরা এগিয়ে যাবে এবং ভরসা পাবে যা তাদের মনোবল দৃঢ় করে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।
Categoties:
Bangla,
Life Style
১৩টি প্রতিজ্ঞা যা আপনাকে আরও বেশী উদ্দীপ্ত করবে
- সৃজনশীলতাঃ প্রতিজ্ঞা করুন আজ নতুন এবং ভিন্ন ধর্মী কিছু করে পৃথিবীকে আরও সুন্দর করার।
- ক্ষমতাবান হাওয়াঃ প্রতিজ্ঞা করুন আজ আরও শক্তিশালী হতে হবে যাতে অধ্যবসায় ও নমনীয়তা দিয়ে সকল বাঁধা দূর করা যায়।
- উদ্দীপনা: আজ কি হতে পারে তা ভেবে নিজেকে উদ্দীপ্ত করা যায়।
- বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আজ কুসংস্কারমুক্ত অবস্থায় চিন্তা করে তা দেখা যায় যা এতদিন দেখা হয়নি।
- উপলব্ধিঃ আজ অবশ্যই তার সচেতন অস্তিত্বের উপস্থিতি উপলব্ধি করা যায় যা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে এবং যা দ্রুতই শেষ হচ্ছে।
- সংবেদনশীলতাঃ আজ অনুভূতি গুলোর ব্যাপারে সচেতন থেকে বুঝতে চেষ্টা করা যায় তা নিজস্বতার উপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করে আছে।
- চিত্তবিনোদনঃ দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টা নিজেকে আনন্দ দেবার জন্য কিছু করা চাই।
- সুখানুভবঃ এই মুহূর্তে যাই হোক না কেন তাই করা উচিত যা ভাল থাকতে সাহায্য করে।
- কর্মশক্তিঃ আজ নিজের ক্ষমতা বলে অন্যদের কল্যাণের জন্য কিছু করা উচিত।
- স্বাস্থ্যঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু করতে হবে যাতে গতকাল বা তার আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি ভাল থাকা যায়।
- বিস্ময়ঃ পিছন ফিরে দেখে, জীবনের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি নিয়ে বিস্ময়বোধ করা, যা আজ জীবনের জন্য আবশ্যক।
- চাঞ্চল্যঃ দিনে একবারের জন্য হলেও ভিতরের শিশুটাকে জাগিয়ে তোলা দরকার।
- কৃতজ্ঞতাঃ জীবন, পরিবার, বন্ধু, কাজ সর্বোপরি সব কিছুর জন্য আজ কৃতজ্ঞতা জানানোর প্রতিজ্ঞা করুন ।
Categoties:
Bangla,
Life Style
সন্তানকে প্রথম যে দশটি জিনিস শেখানো উচিৎ
- আপনার শিশুর স্কুলের প্রথম বছরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে যদি আপনার শিশুকে তাঁর নিজের জুতার ফিতে বাঁধা শিখিয়ে দিতে পারেন তাহলে তাঁর যে মানুষিক দৃঢ়তা তৈরি হবে তা হয়তো আপনি বা আমরা কেউই কল্পনাও করতে পারব না। একবার ভাবতে পারেন স্কুলে কখনো তার জুতার ফিতে খুলে গেলে সে যদি আর দশটা শিশুর সামনে নিজে নিজেই তার ফিতে বাঁধতে পারে তাহলে তার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস কোথায় গিয়ে ঠেকবে।
- স্কুলের পড়ার ব্যাগ আপনি নিজে না গুছিয়ে আপনার শিশুকে করতে দিন। আপনি শুধু খেয়াল রাখুন সে ঠিক ঠাক বই খাতা নিচ্ছে কি না এতে ছোটবেলা থেকেই মানসিকভাবে গোছানো হয়ে গড়ে উঠবে।
- ক্লাসে ফার্স্ট বা সেকেন্ড হলো কি না সেটা আসলে শিশুর জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার না,তাই সে ক্লাসে কি পারলো আর কি পারল না সেটা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন না হয়ে সে তার স্কুলটা উপভোগ করছে কিনা সে দিকে নজর দেওয়া তার শারীরিক এবং মানসিক উভয়ের জন্যই ভালো।
- বাচ্চারা তার খেলনা নষ্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য তাকে বকাঝকা না করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তার ভিতরে খেলনাগুলোর যত্ন নেওয়ার বোধ সৃষ্টি করা যায়।
- স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে দাম্পত্যে কলহ হবে এটাই স্বাভাবিক তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার শিশুটি যেন এর বলি না হয়। তার বাবা-মা এর মধ্যকার সম্পর্ক সে যেন সব সময় উপলব্ধি করে মধুর ,যা তার ভবিষ্যৎ ব্যক্তিগত জীবনে সুখের ছায়া ফেলবে।
- ভিক্ষুক বা কোথাও কোন কিছু দান করার সময় যতটা পারেন আপনার শিশুকে সাথে রাখতে,এতে তার মন উদার হবে। পৃথিবীকে সে আরও বেশী ভালবাসতে শিখবে।
- আপনার শিশুর মতামতকে তার সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন যেন সে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।এতে তার আত্মশ্রদ্ধা বাড়বে।
- সপ্তাহে অন্তত একটি দিন এবং ছুটির দিনগুলোতে আপনার শিশুকে একটু প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যান। তাকে ছেড়ে দিন খোলা হাওয়ায়,স্পর্শ করান মাটিকে।ধরতে দিন ফুলের উপর বসা রঙ্গিন প্রজাপ্রতিটি। দৌড় দিতে দিন,দিতে দিন ঝাঁপ।দেখবেন প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনার শিশুর মাঝে এক অপূর্ব ভালো লাগার স্নিগ্ধতার ছাপ ফেলে যাবে যা আপনি হাজার বা লক্ষ টাকা খরচ করেও কোন সুপার শপে পাবেন না।
- মোটামুটি পড়তে এবং লিখতে পারলে তাকে তার ব্যক্তিগত ডায়েরি লেখার বা আঁকার ব্যাপারে উৎসাহিত করুন।এতে সে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখবে,অনুভব করতে শিখবে। নিজের কাছে আত্মসমালোচনার দ্বার হবে উন্মুক্ত।
- পাঠ্যপুস্তকের বাইরে মজার মজার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে সে পুরো পৃথিবী নতুন করে চিনতে শিখবে।আপনার শিশু আপনারই অস্তিত্ব,আপনার সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পূণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশদেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালোছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ সয়ে, আপনার হাতে সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া করে।
Categoties:
Bangla,
Life Style
নারীরা যে ৬টি মাইন্ড গেম খেলে পুরুষের সাথে
কথায় আছে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। শুধু সংসার কেন, যে কোন সম্পর্কের ভালো মন্দটাই ছেলেদের চাইতে মেয়েদের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কেননা সহজাত ভাবেই সম্পর্ক নিয়ে নারীরা খেলে থাকেন কিছু মাইন্ড গেম! একটি সম্পর্ক কোন দিকে যাবে তা একজন পুরুষের ওপর যতটুকু নির্ভর করে, ঠিক ততোটুকুই একজন নারীর ওপরেও করে। কোন কোন ক্ষেত্রে এইসব মাইন্ড গেমের কারণে, নারীর ভূমিকাটা বরং যেন একটু বেশি।
কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, নারীরা অদ্ভুত কিছু খেলা খেলে থাকেন পছন্দের পুরুষের সাথে। খেলা না বলে বাজিয়ে দেখা বললে মনে হয় বেশি ভালো শোনায়। সব নারী নন, তবে কিছু নারী অবশ্যই এই কাজটি করে থাকেন। কেন? পছন্দের পুরুষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা, বাড়তি মনযোগ পাওয়া, চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে বা কমিটমেনটে রাজি করানো,নিজের অধিকার ফলানো সহ নানান রকম অদ্ভুত কারণ আছে এর নেপথ্যে। পুরুষের সাথে নারীদের মনস্তাত্ত্বিক এই খেলাকে মাইন্ড গেইম বলা যেতে পারে। দেখে নেয়া যাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরা যে মাইন্ড গেমগুলো খেলে থাকেন, সেগুলো আসলে কী!
বোকা ও অসহায় সেজে থাকা:
বেশিরভাগ পুরুষ ভাবেন মেয়েরা বোকা। বিশেষ করে নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ধারণা আরও অনেক বেশি পোক্ত। তবে জেনে রাখুন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধারণা মেয়েটি স্বয়ং তৈরি করে থাকে! কেননা তাতে চোখের অলক্ষ্যেই সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় নিজের হাতে। এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে সম্পর্ক ও সামাজিকতার সুক্ষ্ম চালগুলো মেয়েরা অনেক বেশি ভালো বোঝে। ফলে বেশিরভাগ নারীই তার পছন্দের পুরুষের সামনে বোকা ও অসহায় সেজে থাকার এক প্রকারের নাটক করে, যে নাটক পুরুষটির সাথে তার সম্পর্ককে করে তোলে অনেক বেশি পোক্ত। আর এই জন্যই বন্ধু মহলে অনেক মারকুটে স্বভাবের একটি মেয়েই নিজের প্রেমিকের সামনে দেখা যাচ্ছে একদম পরনির্ভরশীল একজন মানুষে পরিণত হয়।
কিন্তু কেন করে এমন?
এর কারন হিসেবে সাইকোলজিক্যাল এক্সপার্টরা পুরুষের বোকামিকেই দায়ী মনে করেন। অনেক ছেলেই বোকা মেয়েদেরকে বেশি পছন্দ করে। কথাটি ঘুরিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, অনেক ছেলেই চান না তার সঙ্গী তার থেকে বেশি বুঝুক বা বেশি বুদ্ধিমতী হোক। সঙ্গিনী আত্মনির্ভর হওয়ার চাইতে তার প্রতি নির্ভরশীল হওয়াটাই অধিক পছন্দ করেন বেশিরভাগ পুরুষ। এবং পৃথিবীতে কোন পুরুষই চান না যে স্ত্রী বা প্রেমিকা তার চাইতে বেশি সফল বা বেশি স্মার্ট হোক। পছন্দের পুরুষের এই চাওয়া পূরণ করতেই বা চাওয়া পূরণের মাধ্যমে পুরুষটিকে আপন করে পেতেই মেয়েরা খেলে থাকে এই বোকা ও অসহায় সাজার মাইন্ড গেম!একজন পুরুষ তাকে সারাক্ষণ দেখেশুনে রাখছেন কিংবা তার সমস্ত খুঁটিনাটি ভালোমন্দের দিকে খেয়াল দিচ্ছেন-এই ব্যাপারটি নারীরা রীতিমত উপভোগ করেন ও এটাই কামনা করেন সম্পর্কে।
অপেক্ষা করানো:
অপেক্ষা করানো নারীদের স্বভাব-এ কথা সহজেই স্বীকার করে নেবেন বেশিরভাগ পুরুষ। তবে জেনে রাখুন,এটা নারীর সভাব নয়, বরং তার মাইন্ড গেমের সূক্ষ্ম একটা চাল। খুব সাধারণ একটি উদাহরণ দেই- ডেটিং এর ক্ষেত্রে বেশির সময় ছেলেটিকেই অপেক্ষা করতে হয়। দেখা গেল প্রেমিক নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর পর প্রেমিকা বাসা থেকে বের হচ্ছে। এসব ছাড়াও প্রেমের প্রস্তাবে "হ্যাঁ" বলতে দেরি করা সহ নানান বিষয়ে নারীরা প্রেমিককে অপেক্ষা করান।
কিন্তু নারীরা কেন এই কাজটি করেন?
অনেকে ভাবেন মেয়েরা এই কাজটি করে বেশ মজা পান। কিন্তু সাইকোলজিস্টদের মতে মেয়েরা মনস্তাত্ত্বিক কারনে এই কাজটি করে থাকেন। তারা বলেন এই কাজটির মাধ্যমে মেয়েরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবতে পারেন। এবং সম্পর্কে তার নিজের একটি ভালো অবস্থান গড়ে নেয়ার জন্য এই কাজটি মেয়েরা করেন। এতে আবার ছেলেরা ভেবে বসবেন না যে এখন থেকে আর সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করব না। না করলে কিন্তু হারাতে হবে সঙ্গিনীকে!
কথার সূক্ষ্ম প্যাঁচে ফেলা:
একটি কাজ মেয়েরা হরহামেশাই করে থাকেন আর তা হলো, কোন বিশেষ পোশাকে কিংবা মেকআপে তাকে কেমন দেখাচ্ছে তা সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করা। এটা আরেকটি প্যাঁচালো মাইন্ড গেম। কারণ সঙ্গী ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক যাই উত্তর দিক না কেন, মেয়েরা নিজেদের মনে দুইটি উত্তরের জন্যই জবাব তৈরি করে রাখে। যেমন, যদি সঙ্গী বলেন ভালো দেখাচ্ছে না, তাহলে কী হবে সেটা বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি বলেন ভালো দেখাচ্ছে, সঙ্গিনী তখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেশ করবেন যে- কোনটা ভালো দেখাচ্ছে? এতদিন কি তবে ভালো দেখাত না? ভালো না লাগলে আগে বলেনি কেন? ইত্যাদি আরও নানান কথার মারপ্যাঁচ। সুতরাং এই মাইন্ড গেমে পুরুষ যাই বলুন না কেন, বিপদে পড়া এক প্রকার অনিবার্য। ছেলেদের জন্য বলছি মিষ্টি হেসে সোজা করে উত্তর দিন-”তোমাকে সব কিছুতেই ভালো লাগে”, কেননা নারী এই জবাবটিই শুনতে চান। নিশ্চিত হতে চান যে আপনার চোখে তিনিই সেরা সুন্দরী।
নিজেকে দুষ্প্রাপ্য করে তোলা:
বেশিরভাগ নারীই নিজেকে দুষ্প্রাপ্য করে রাখতে ভালোবাসেন। এমন একটি অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে ভালোবাসেন, যেখানে পৌঁছাতে হলে পুরুষটিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। যেমন, প্রেমিককে সময় না দেয়া কিংবা নানান বাহানায় সময় দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক বাহানাই দিয়ে থাকেন নারীরা এই দুষ্প্রাপ্য করে তোলার কৌশলে। একজন পুরুষ তাকে পাবার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছে, কিংবা যে কোন পরিস্থিতিতে তাকে পাবার জন্য ব্যাকুল-এই ব্যাপারটি নিয়ে নারীরা এক রকম অহংকার বোধ করে থাকেন।
অন্য পুরুষ সম্পর্কে ঈর্ষা তৈরি করা:
এই খেলাটিও বেশিরভাগ নারী খেলে থাকেন। বিশেষ করে পছন্দের পুরুষটি যখন তাকে অবহেলা করে বা খারাপ ব্যবহার করে,তখন নারীর মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে অন্য একজন পুরুষ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নারীরা ইচ্ছা করেই অন্য একজন পুরুষের দিকে মনযোগী হচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই পুরুষটি হয়ে থাকে প্রেমিকেরই কোন বন্ধু বা নারীটির প্রাক্তন প্রেমিক। অনেক নারী আবার কাল্পনিক পুরুষ চরিত্র তৈরি করে প্রেমিককে নানান রকম মনগড়া কাহিনী শুনিয়ে থাকেন। সবমিলিয়ে ব্যাপার আর কিছুই নয়, প্রেমিকের মনে এক রকমের ঈর্ষা তৈরি করা। এই ঈর্ষা পুরুষের মাঝে এত প্রবল হয় যে পছন্দের নারী অন্য কারো দিকে মনযোগী হচ্ছে এটা চিন্তা করেই তারা আবার প্রেমিকার দিকে মনযোগী হয়।
আগ্রহ না দেখানো:
এই খেলাটি অনেক মেয়েরাই সম্পর্কের শুরুতে করে থাকেন। সঙ্গীর কাছে সে কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা পরীক্ষা করার জন্য। মেয়েরা জন্মগতভাবেই খুব কৌতূহলী স্বভাবের হয়ে থাকে। সব ব্যাপারেই খুঁটিনাটি মেয়েদের জানার আগ্রহ বেশি থাকে। কিন্তু সম্পর্কের শুরুতে একটি মেয়ে তার সঙ্গীর কাছে কোন ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে জানার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখায়, কিংবা সঙ্গীর কোন ব্যাপারেই বিশেষ গুরুত্ব বা আগ্রহ দেখান না। এর পিছনে কারন রয়েছে। এর কারন হলো মেয়েটি জানতে চান ছেলেটির কাছে তিনি কতোটুকু গুরুত্ব পাচ্ছেন। কারন মেয়েটি ভেবে নেয়,” আমি যদি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হই তাহলে সে নিজেই আমাকে সব বলবে, আর তাই নিশ্চিত থাকুন যে তাদের অনাগ্রহ প্রকাশ আসলে ভেতরে ভেতরে অতি আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ।
Categoties:
Bangla,
Girls,
Life Style
Saturday, November 23, 2013
হতাশ মানুষকে যা বলবেন আর যা বলবেন না
আমাদের সবার চার পাশে অনেক মানুষ আছে যারা নানা কারণে হতাশায় ভোগে। তাদের সাথে কথা বলার সময় কি কি মাথায় রাখা উচিৎ আসুন তা জেনে নেই।
১. পাশে থাকার কথা জানান।
যা বলবেন: তুমি একা নও, পাশে আছি।
যা বলবেন না: তোমার চেয়ে অনেকেই খারাপ অবস্থায় আছে।
২. তাকে জানান, সে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
যা বলবেন: আমার কাছে তোমার গুরুত্ব অবশ্যই আছে।
যা বলবেন না: কেউ বলতে পারবেনা তাদের জীবনে সমস্যা নেই।
৩. তাকে সাহায্য করুন।
যা বলবেন: বুকে জড়াবো তোমায়?
যা বলবেন না: নিজের জন্য দুঃখ করা বন্ধ কর।
৪. হতাশা একটি কঠিন বাস্তবতা।
যা বলবেন: তুমি স্বাভাবিকই আছ।
যা বলবেন না: তুমি তো সব সময়ই হতাশ।
৫. আশার কথা শুনান।
যা বলবেন: খুঁজে দেখ এখনো অনেক পথ খোলা।
যা বলবেন না: হতাশ চেহারা নিয়ে ঘুরে বেড়িও না।
৬. হতাশা অতিক্রমের পথ দেখান।
যা বলবেন: যদি তোর ডাক শুনে কেই না আসে, তাবে একলা চল রে...
যা বলবেন না: তোমার নিজের দোষেই কিছু হয় না।
৭. তাকে বোঝান যে, আপনি তাকে বোঝেন।
যা বলবেন: তোমার কষ্টটা আমি অনুভব করতে পারছি না সত্যি, কিন্তু খুব ভাবে বুঝি কষ্টটা কোথায়।
যা বলবেন না: বিশ্বাস কর, আমি তোমার কষ্ট অনুভব করছি, আমারও একই সমস্যা হয়েছিল।
৮. আস্থা অর্জন করুন।
যা বলবেন: আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি না।
যা বলবেন না: তোমার যন্ত্রণা আর নিতে পারছি না।
৯. তার প্রতি যত্নশীল হোন।
যা বলবেন: তোমাকে সত্যি ভালবাসি (যদি সত্যি তা হয়)
যা বলবেন না: তোমার নিজের কথা বলতে বলতে বিরক্তি আসেনি এখনো?
১০. এক সাথে অর্জন কারা উপায় দেখান।
যা বলবেন: তোমার আচরণ বা কথায় আমি কষ্ট পাই না।
যা বলবেন না: মাতাল হইছো?
Categoties:
Life Style
Sunday, May 5, 2013
ভুমিকম্পের কবলে পড়লে করনীয়
- ভুমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির সাথে-সাথে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খোলা স্থানে আশ্রয় নিন।
- যদি ঘর থেকে বের হতে না পারেন তবে, ইটের গাথুনির পাকা ঘর হলে- ঘরের কোনায়, কলাম ও বিমের তৈরী ভবন হলে- কলামের গোড়ায় আশ্রয় নিন।
- আপনার বাসস্থান আধাপাকা বা টিনের তৈরী হলে খাটের নিচে আশ্রয় নিন।
- ভুমিকম্প রাতের বেলায় হলে কিংবা দ্রুত বের হতে না পারলে সজাগ হওয়ার সাথে... সাথে ঘরের কোনে, কলামের গোড়ায় কিংবা শক্ত খাট বা টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন।
- ঘরে হেলমেট জতীয় কিছু থাকলে দ্রুত নিজের মাথায় পরুন ও অন্যদের পরতে বলুন।
- রাতে ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি না করে গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। খেয়াল রাখবেন যেন বিচানার নীচে চলে না যান, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন।
- বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা void-এর সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় সেফটি জোন বা ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা সাত নাম্বার পয়েন্টে যেভাবে বলেছি সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন।
- ইন্ড্রাষ্টি কিংবা কারখানায় থাকলে দ্রুত বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাস লাইন বন্ধ করে দিন।
- টাকা-পয়সা, সোনা-দানা কোন কিছু সংগে নেওয়ার লোভে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
- এই সময় কোনমতেই লিফট ব্যবহার করবেন না। কেননা বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে লিফট বন্ধ হয়ে আপনি সেখানে আটকা পড়তে পারেন।
- ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে।
- বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন।
- বৈদ্যুতিক,গ্যাস চালিত সব ধুরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন।
- যদি বহুতল ভবনের ওপরের দিকে কোনো তলায় আটকা পড়েন, বেরিয়ে আসার কোনো পথই না থাকে, তবে সাহস হারাবেন না। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। আপনি এখানে আছেন সেটা উদ্ধারকারি দলের কাছে আওয়াজ পৌছানোর চেষ্টা করুন।
- ভুমিকম্পের কারণে যদি আপনি আহত হন বা বিম, দেয়াল, স্লাব বা কংক্রিটের তৈরী কোন অংশে আপনার শরীর আটকে গেলে বা চাপা পড়লে বের হবার সুয়োগ যদি না-ই থাকে তবে বেশী টানা-হেচড়া করবেন না এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হয়ে আপনার দ্রুত মৃত্যু হতে পারে।
- রেডিও থাকলে দূর্যোগ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য পাবার জন্য সেটি চালু রাখুন। টেলিফোন,মোবাইল চালু থাকলে প্রয়োজনীয় সাহায্য চাওয়ার জন্য এবং ক্ষয়ক্ষতি রিপোর্ট করার জন্য সেটি ব্যবহার করুন।
- ম্যাচ জ্বালাবেন না। দালান ধ্বসে পড়লে গ্যাস লিক হয়ে থাকতে পারে।
- ছোটখাট আঘাতে সম্ভব হলে নিজের পরিধেয় বস্ত্র ছিড়ে ক্ষতস্থান বেধে দিন।
- চিৎকার করে ডাকাডাকি শেষ অপশন হিসেবে বিবেচনা করুন। কারণ, চিৎকারের সময় মুখে ক্ষতিকারক ধুলাবালি ঢুকে যেতে পারে। পাইপে বা ওয়ালে বাড়ি দিয়ে বা মুখে শিস বাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন। তবে ভাল হয় সাথে যদি একটা রেফারির বাঁশি বা হুইসেল থাকে, তার প্রিপারেশন নিয়ে রাখুন আগেই।
- আহত লোকদের যতটুকু সম্ভব সাহায্য করুন। কেউ আটকা পড়লে চেস্টা করুন উদ্ধারের। না পারলে তাকে বা তাদেরকে পানি ও খাবার দিন এবং অভয় দিন।
- মনে রাখবেন আপনার উত্তেজনা কিংবা ভয় আপনার জন্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতির কারন হবে তাই যত বিপদেই পড়ুন না কেন কখনোই সাহস হারাবেন না।
Categoties:
Bangla,
Building,
Earth Quake,
Important,
Life Style
Friday, March 22, 2013
ধূমপান ছাড়ার ১৩ উপায়!
ধূমপানের আসক্তি থেকে নিজেকে রক্ষার উল্লেখিত ১৩টি উপায় অনুসরণ করলে অবশ্যই ধূমপান ছাড়া সম্ভব। এই ১৩টি উপায় হচ্ছে-
- প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কেন ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য জরুরী। অর্থাৎ কি কারণে ধূমপান ছাড়তে চান। যেমন ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কামাতে।
- কোন ধরনের থেরাপি বা মেডিকেশন ছাড়া ধূমপান ছাড়া ঠিক নয়। কারণ সিগারেটের নিকোটিনের ওপর ব্রেইন অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ছেড়ে দিলেই নানা উপসর্গ শুরু হয়। তাই সিগারেটের বিকল্প থেরাপির কথা চিন্তা করতে হবে।
- নিকোটিনের বিকল্প গাম, লজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
- নিকোটিনের বিকল্প ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
- একা একা ধূমপান না ছেড়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য (যদি ধূমপায়ী থাকেন), বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের উৎসাহিত করে একসঙ্গে ধূমপান ত্যাগের ঘোষণা দিন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকা ম্যাসাজ নিন।
- অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- মনোযোগ অন্যদিকে নিতে ঘর পরিষ্কার করতে চেষ্টা করুন।
- ধূমপান ত্যাগের জন্য বার বার চেষ্টা করুন। একবার ছেড়ে দিলে দ্বিতীয় বার আর ধূমপান করবেন না।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি ও রঙিন ফলমুল খান।
- ধূমপান বন্ধ করে যে আর্থিক সাশ্রয় আপনার হবে তার একটা অংশ হালকা বিনোদনে ব্যয় করুন।
- আর ধূমপান ছাড়ুন বন্ধু-বান্ধব বা প্রেমিককে খুশী করার জন্য নয়, বরং আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যই টা করেছেন। এমন জোরালো অবস্থান নিন।
Categoties:
Bangla,
Health Tips,
Life Style
সফল বিবাহিত জীবনের জন্য যেই ব্যাপারগুলো প্রয়োজনীয়
- দুইজন একই সাথে একই সময়ে রাগ করে থাকা যাবে না।
- বাসায় একমাত্র সত্যিকারের আগুন লেগে গেলেই শুধুমাত্র একই সাথে দুজনই চিল্লাচিল্লি করুন। অন্যথায় নয়।
- যদি আপনাদের দুজনের মধ্যে একজনকে ঝগড়ায় জিততে হয় তবে চেষ্টা করুন সেটি যেন আপনার জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনী হয়।
- তিরস্কার যদি করতেই হয়, তবে এমনভাবে করুন যাতে ভালোবাসা থাকে।
- পিছনের ভুলগুলো টেনে আনা উচিত নয়।
- নিজেদের দুইজনকে পৃথিবীর বাকি সবকিছু থেকে অগ্রাধিকার দিন।
- একটি ঝামেলা খুব বেড়ে গেলে সেটি সমাধান না করা পর্যন্ত ঘুমাতে যাবেন না। সমস্যা সমাধান করেই তবে ঘুমাতে যান।
- প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও আপনার জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনীকে তার সম্পর্কে সুন্দর সুন্দর কথা বলুন।
- আপনার দ্বারা কোনো ভুল হয়ে গেলে তা স্বীকার করার ক্ষমতা রাখুন, এবং এর জন্য বিনীতভাবে ক্ষমা চান।
- মনে রাখবেন, ঝগড়া করার জন্য সবসময় দুজন মানুষের প্রয়োজন হয় এবং যার ভুল বেশি, সেই
- সবসময় বেশি কথা বলার মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে।
Categoties:
Bangla,
Life Style
Thursday, September 23, 2010
A Guide to a Better Life
On September 18, 2007, Carnegie Mellon professor and alumnus Randy Pausch delivered a one-of-a-kind last lecture that made the world stop and pay attention. It became an Internet sensation viewed by millions, an international media story, and a best-selling book "The Last Lecture" that has been published in 35 languages. To this day, people everywhere continue to talk about Randy, share his message and put his life lessons into action in their own lives.
In a letter to his wife Jai and his children, Dylan, Logan, and Chloe, he wrote this beautiful "guide to a better life" for his wife and children to follow. May you be blessed by his insight.
POINTS ON HOW TO IMPROVE YOUR LIFE
Personality:
- Don't compare your life to others'. You have no idea what their journey is all about.
- Don't have negative thoughts of things you cannot control. Instead invest your energy in the positive present moment
- Don't over do; keep your limits
- Don't take yourself so seriously; no one else does
- Don't waste your precious energy on gossip
- Dream more while you are awake
- Envy is a waste of time. You already have all you need..
- Forget issues of the past. Don't remind your partner of his/her mistakes of the past. That will ruin your present happiness.
- Life is too short to waste time hating anyone. Don't hate others.
- Make peace with your past so it won't spoil the present
- No one is in charge of your happiness except you
- Realize that life is a school and you are here to learn.
- Problems are simply part of the curriculum that appear and fade away like algebra class but the lessons you learn will last a lifetime.
- Smile and laugh more
- You don't have to win every argument. Agree to disagree.
Community:
- Call your family often
- Each day give something good to others
- Forgive everyone for everything
- Spend time with people over the age of 70 & under the age of 6
- Try to make at least three people smile each day
- What other people think of you is none of your business
- Your job will not take care of you when you are sick. Your family and friends will. Stay in touch.
Life:
- Put GOD first in anything and everything that you think, say and do.
- GOD heals everything
- Do the right things
- However good or bad a situation is, it will change
- No matter how you feel, get up, dress up and show up
- The best is yet to come
- Get rid of anything that isn't useful, beautiful or joyful
- When you’re awake alive in the morning, thank GOD for it
- If you know GOD you will always be happy. So, be happy.
While you practice all of the above, share this knowledge with the people you love, people you school with, people you play with, people you work with and people you live with.
Not only will it enrich YOUR life but also that of those around you.
Thursday, February 18, 2010
Read Lying Down without Straining the Neck with this Special Reading Glasses
Many people tend to enjoy reading books or magazines by lying down in bed or on a hammock and holding their reading material in the hand. It can be quite pleasurable and relaxing when you are reading in this position. Having said that, sometimes you might feel a strain, particularly on the neck, due to your posture.
Instead of straining your neck and not reading comfortably, This reading glasses allow users to read even when they are lying supine in bed. These interesting lightweight glasses employ two optical-quality glass prisms that bend reader’s vision 90º providing easy reading from a recumbent position. By having a pair of this Reading Glasses, users no longer need to support their head with pillows or hold the book awkwardly above their face.
The lightweight glasses employ two optical-quality glass prisms that bend user’s vision 90º providing easy reading from a recumbent position.
Categoties:
Life Style,
Technology
Subscribe to:
Posts (Atom)